"}}; /* neonLight */ function neonLight(e){var neonL = qSel('#neonLight'); if (neonL != null) {addCt(neonL, 'vsbl'); setTimeout(function (){remCt(neonL, 'vsbl')},e+1000)}}; /* Vibrate */ function vibRate(e) {if ('vibrate' in navigator) {navigator.vibrate([e])}}; /*]]>*/

ইন্টারনেট কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | ইন্টারনেটের আবিষ্কার | ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি | ইন্টারনেটের উপাদান

আজকের যুগে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। কিন্তু ইন্টারনেট আসলে কী? এটি কীভাবে কাজ করে? এই ব্লগ পোস্টে আমরা ইন্টারনেটের মূল ধারণা, ইতিহাস, উপাদান এবং প্রকারভেদ সম্পর্কে আলোচনা করব। 

আসুন জানি ইন্টারনেটের জাদুকরি জগতে প্রবেশ করার আগে, আমাদের সবার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এবং বুঝতে উৎসাহিত করি।

ইন্টারনেট কাকে বলে? (সহজ সংজ্ঞা) | ইন্টারনেটের আবিষ্কার | ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি | ইন্টারনেটের উপাদান

ইন্টারনেট কাকে বলে?

পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে à¦‡à¦¨্টারনেট à¦¬à¦²ে।

ইন্টারনেট হলো একটি বিশাল নেটওয়ার্ক যা সারা বিশ্বের কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে রেখেছে। এটি এমন একটি মাধ্যম যা মানুষকে যেকোনো জায়গা থেকে তথ্য আদান-প্রদান করতে এবং যোগাযোগ করতে সক্ষম করে। 

সহজভাবে বললে, ইন্টারনেট হলো পৃথিবীর বিস্তৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যা অসংখ্য নেটওয়ার্কের সংযোগে তৈরি হয়েছে। বিশেষ ধরণের গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।

ইন্টারনেটের আবিষ্কার

১৯৮২ সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগের উপযোগী টিসিপি/আইপি (TCP/IP: Transmission Control Protocol/ Internet Protocol) প্রোটোকল উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইন্টারনেট শব্দটি চালু হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রধানত নিম্নলিখিত উপাদানগুলো প্রয়োজন - à§§. কম্পিউটার, ২. মডেম, à§©. টেলিফোন লাইন, ৪. ইন্টারনেট সংযোগ এবং à§«. সফটওয়্যার।

ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি

ইন্টারনেট একটি ইংরেজি শব্দ। ইন্টারনেট বা Internet এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Interconnected network (ইন্টারকানেক্টেড নেটওয়ার্ক)। এটি ‘Inter’ এবং ‘net’ এই দুইটি শব্দ থেকে এসেছে। ‘Inter’ শব্দের অর্থ ভেতরে এবং ‘net’ শব্দের অর্থ জাল। সুতরাং, Internet শব্দের অর্থ হলো ভেতরের জাল বা অন্তর্জাল। Internet কে সংক্ষেপে ‘Net’ নামেও পরিচিত।

ইন্টারনেটের উপাদান

ইন্টারনেটের উপাদানগুলো হলো ব্যবহারকারী (User), তথ্য, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কম্পিউটার ইত্যাদি।

ইন্টারনেটের জনক কে

ইন্টারনেট আবিষ্কৃত হয় ১৯৮৩ সালের ১লা জানুয়ারী। ১৯৮৩ সালের পূর্বে অনেক নেটওয়ার্ক থাকলেও তাদের নির্দিষ্ট স্ট্রাকচার না থাকার কারণে সফলতা পায়নি। তবে ইন্টারনেট আবিষ্কারের ক্ষেত্রে রবার্ট ই কান এবং ভিনটন জি কার্ফ নামের দুই ব্যক্তির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইন্টারনেটের জনক হিসেবে Vinton Gray Cerf কে চিহ্নিত করা হয়। Transmission Control Protocol (TCP) এবং Internet Protocol (IP) এর আবিষ্কার ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপন করে। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ইন্টারনেট আজ দ্রুতগতিসম্পন্ন ও ব্যাপক সুবিধাসম্পন্ন হয়েছে।

ইন্টারনেট আবিষ্কার এর ইতিহাস

ইন্টারনেট আবিষ্কারের শুরুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬৯ সালে প্রথমবারের মতো ক্যালিফোর্নিয়ায় যোগাযোগের জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়, যা মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের গবেষকদের দ্বারা গঠিত হয়। ইন্টারনেটের পূর্বনাম ছিলো “আর্পানেট” (ARPANET)।

ইন্টারনেটের প্রকারভেদ

সাধারণত ব্যবহারকারীগণ দুভাবে ইন্টারনেট গ্রাহক হতে পারেন - (à§§) অনলাইন ইন্টারনেট এবং (২) অফলাইন ইন্টারনেট।

অনলাইন ইন্টারনেট

অনলাইন ইন্টারনেট হচ্ছে একটি কম্পিউটারে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেটে সংযোগ রাখা। এর জন্য কম্পিউটারের একটি নির্দিষ্ট IP (Internet Protocol) Address-এর প্রয়োজন পড়ে। অনলাইন ইন্টারনেটে সাধারণত বড় বড় কোম্পানি সংযোগ স্থাপন করে থাকে।

অফলাইন ইন্টারনেট

অফলাইন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিকটবর্তী কোনো ISP (Internet Service Provider)-এর সার্ভারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করার প্রক্রিয়াই।

ইন্টারনেটের অন্যান্য প্রকারভেদ

ইন্টারনেটকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কয়েকভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন: ডায়াল-আপ (Dial-up), ডিএসএল (DSL), স্যাটেলাইট (Satellite), ক্যাবল (Cable), ওয়ারলেস (Wireless), সেলুলার (Cellular)।

ডায়াল-আপ ইন্টারনেট

স্ট্যান্ডার্ড মোবাইল লাইন ব্যবহার করে যে Internet সংযোগ পাওয়া যায় তাকে ডায়াল-আপ ইন্টারনেট বলে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন পেতে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে। তবে এটি ধীরগতির হওয়ায়, ব্যবহারকারীর কাছে এই সংযোগটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

ডিএসএল ইন্টারনেট

ডায়াল-আপের ধীরগতির পরিবর্তে দ্রুতগতি সম্পন্ন ডিএসএল ইন্টারনেট বাজারে আসে, যা মূলত ক্যাবল সংযোগের মাধ্যমে কাজ করে এবং এর গতি ডায়াল-আপের চেয়েও ১০০ গুণ বেশি।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট হলো তারবিহীন দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট পরিসেবা। এটি ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ ইন্টারনেট পরিসেবা প্রদান করে।

ক্যাবল ইন্টারনেট

ক্যাবল ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়, যা ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় ও দ্রুতগতিসম্পন্ন।

ওয়ারলেস ইন্টারনেট

ওয়ারলেস ইন্টারনেট কানেকশন তখন সৃষ্টি হয় যখন দুটি মাধ্যম স্বল্প দূরত্বে অবস্থান করে একে অন্যের সাথে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান করে।

সেলুলার ইন্টারনেট

মোবাইল ফোনে যে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করি, তাকে সেলুলার ইন্টারনেট বলা হয়। এটি ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়, কারণ এটি যেকোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়।

আমরা জানলাম ইন্টারনেটের কার্যকারিতা, এর আবিষ্কার এবং বিভিন্ন প্রকারের সম্পর্কে। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনাদের উপকারে আসবে। আরও জানার জন্য এবং আরো আকর্ষণীয় পোস্টের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট স্টাডিটিকা ডট কমে আসতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!

Getting Info...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.